প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা গেজেটেড কর্মকর্তা, ১০ম গ্রেডে বেতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৩ই মার্চ ২০২৫ ১২:৪০ অপরাহ্ন
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা গেজেটেড কর্মকর্তা, ১০ম গ্রেডে বেতন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন এবং তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করা হবে বলে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে নিশ্চিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।  


এর আগে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেন। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও রায় কার্যকর না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন।  


এরপর ২০২২ সালের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন যে, কেন সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করা হয়নি এবং কেন আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।  


এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় দুই দিন আগেই সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করে আপিল বিভাগের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। তবে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই পিটিশন নিষ্পত্তি করে দেয়।  


এই রায়ের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। পাশাপাশি তাদের ১০ম গ্রেডের বেতন নিশ্চিত হলো, যা দীর্ঘদিন ধরে তারা দাবি করে আসছিলেন।  


শিক্ষক মহলে এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলা হচ্ছে, এটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ আরও দৃঢ় হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।  


শিক্ষাবিদদের মতে, এই রায় বাস্তবায়নের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কাঠামো আরও সুসংগঠিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষকদের মানসিক প্রেরণা বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  


এদিকে, রায় বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। তারা আশা করছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।