আগৈলঝাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ইঁদুর মারার পাতা ফাঁদে এক কৃষকে মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অপর এক কৃষক। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে। কৃষক নিহতর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের। পুলিশ, নিহতর পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা রাজিহার গ্রামের মৃত অমূল্য পাত্রর ছেলে অমিও পাত্র ও তার অপর দুই ভাইয়েরা তাদের জমির ইঁদুর মারার জন্য কাউকে না জানিয়ে জমির চারদিকে বিদ্যুতের লাইন দিয়ে (গুনার মাধ্যমে) ফাঁদ পেতে রাখে। রবিবার সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের পাতা ফাঁদে পাশ্ববর্তি চেঙ্গুটিয়া গ্রামের কেতাব আলী ঘরামীর ছেলে কৃষক আব্বাস ঘরামী (৫৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদিকে ওই দিন এগারোটার দিকে চেঙ্গুটিয়া গ্রামের অপর কৃষক আক্কাস সরদারের ছেলে এচাহাক সরদার ওই পাতা ফাঁদে গুরুতর আহত হলে ফাঁদের বিষয়ে জানাজানি হওয়ায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গিয়ে অমিওর বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স ালন লাইনের তার খুলে অফিসে নিয়ে আসে। আনেন তারা। রবিবার বিকেলে গবাদি পশুর ঘাস কাটতে গিয়ে স্থানীয়রা ধান ক্ষেতে আব্বাসের লাশ দেখতে পায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্বাসের মৃত্যুর পর তার লাশ ফাঁদ পাতা ধান ক্ষেত থেকে অন্তত ৫০ গজ দুরে অন্য একটি ধান খেতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশের ধারণা, আব্বাসের লাশ গুম করতেই লাশ টেনে নিয়ে অন্যের ধান খেতে ফেলে রাখা হয়। রাতের সুযোগে আব্বাসের লাশ গুম করা হতো বলে পুলিশের ধারনা।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ওসি (তদন্ত) নকিব আকরামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্বাসের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় নিহত আব্বাসের ছেলে আ. রাজ্জাক বাদী হয়ে রবিবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেছে, নং-১৪(১৭.৩.১৯)। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকালে আব্বাসের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।