বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে তিন যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলার উত্তর শ্যামপুর, নারায়ণপুর ও কাঁচদহ গ্রামের পারিবারিক কবর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নিহতরা হলেন: উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে রিমন ইসলাম (২২), নারায়ণপুর গ্রামের মো. ইয়াসিন আলীর ছেলে কিবরিয়া ইসলাম (৩০) এবং কাঁচদহ গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৩)। এর মধ্যে কিবরিয়া ইসলাম ছিলেন ২ নম্বর বিনোদনগর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এদের হত্যার পর গত ২৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রিমনের বাবা রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক এমপি শিবলী সাদিককে প্রধান আসামী করে অভিযোগ তোলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, দুই বছর ৬ মাস আগে বালু মহল নিয়ে এমপি শিবলী সাদিকের সঙ্গে স্থানীয় তিন যুবকের ঝামেলা হয়। ওই বালু মহলকে কেন্দ্র করে শিবলী সাদিকের নির্দেশে তিন যুবককে হত্যা করা হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের পর আদালতের নির্দেশে এই লাশগুলো উত্তোলন করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, “কোর্টের নির্দেশে আজ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো মর্গে প্রেরণ করা হবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ এবং পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। স্থানীয় সুশীল সমাজ ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।