রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীত বিদ্যালয় ‘সুরের ধারা’-র জমির লিজ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’কে মোহাম্মদপুর থানাধীন রামচন্দ্রপুর মৌজার কয়েকটি দাগের ওপর স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব জমি সিএস রেকর্ডে ‘খাল’ শ্রেণিভুক্ত হওয়ায় এবং এর ব্যবহার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে লিজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিজ বাতিল সংক্রান্ত চিঠিতে জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়—০.১৭০০ একর এবং ০.৩৪২০ একর, মোট ০.৫১২০ একর। এই জমির জন্য বন্দোবস্ত ১৯৯২ সালে দেওয়া হয়েছিল, যখন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা 'সুরের ধারা' সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জমির লিজ বাতিল হওয়ায় ভবিষ্যতে স্কুলের কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
‘সুরের ধারা’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বিশেষত রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা ও প্রসারে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ভূমিকা অসামান্য। তার বিদ্যালয়টি একদিকে যেমন সঙ্গীতের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি করেছে, অন্যদিকে এটি একাডেমিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ পরিবেশ প্রদান করেছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের সিদ্ধান্তের পর ‘সুরের ধারা’-র ভবিষ্যৎ কী হবে? বিশেষ করে, জমির লিজ বাতিলের পর বিদ্যালয়ের স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে। তবে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে, সঙ্গীত বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত এবং সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।