ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় হাকিমপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে বাংলাহিলি বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালিটি শুরু হয়। হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই র্যালিটি বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চারমাথা মোড়ে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদ খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, মহিলা নেত্রী আক্তারা বানু, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আরমান আলী, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আলী মূতুর্জা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব সোহাগ সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আলোচনা সভায় ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন, যা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মানুষের জন্য সংগ্রামের দিন হিসেবে স্মরণীয়। তারা বলেন, "আ'লীগের দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে," এবং সকল নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে জনগণের সরকারের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন, "আমাদের লক্ষ্য আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে জনগণ তাদের পছন্দসই সরকার নির্বাচিত করতে পারে এবং সঠিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।"
এ সময় বক্তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের ঘোষণা দেন, যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও ভালো হয়। তারা দলের মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে আন্দোলন জোরদার করার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন।
এই র্যালি ও আলোচনা সভা ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে পুনঃজীবিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়, যা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।