দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মুখে কির্তন খলা বাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কে এম আব্দুল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত: রবিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২২ ০৭:১১ অপরাহ্ন
দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মুখে কির্তন খলা বাঁধ

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ধনু নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের কির্তন খলা বাঁধসহ বেশ কয়েকটি বাঁধ হুমকির মুখে। 


বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন,  জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কৃষকরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 


পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র থেকে বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগনঞ্জ জেলা রয়েছে।


অপরদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টপাত অব্যাহত থাকায় হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ - নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। 


নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কির্তনখলা, গোমাইল বাঁধ ও চরহাইসদা বাঁধ হুমকির মুখে। আমরা ১৮ দিন বাবদ এসকল বাঁধ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত নেত্রকোণার কোন বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসলের কোন ক্ষতি হয় নি। আশা করি কৃষকরা তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলতে পারবে।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী জানান, মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুড়ি হাওর উপজেলায় ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ করা হয়েছে। বন্যার হাত থেকে বাঁচতে ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আমরাও কৃষকদেরকে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছি। এপর্যন্ত হাওরে ৫৫ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। 


পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বলেন, হাওরের বাঁধ রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি থানায় ৫ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। তারা দিনরাত বাঁধ পাহারায় তদারকি করছে।


জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান বলেন, সরকার হাওরের ফসল রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।হাওরের বাঁধের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করছে। পানি আর না বাড়লে কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে।