রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরির সংকট, ঘাট সংকট, কাটছেই না বরং আরো ২টি কে-টাইপ ফেরি বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান ডর্কইয়ার্ড মধুমতিতে মেরামতের কাজ চলছে, এছাড়াও এই দুই নৌরুটের উভয় প্রান্তে, ঘাটে ভেড়ার চ্যানেলে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ছোট বড় যে সকল ফেরি রয়েছে , তা পন্টুনের পকেটে ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে, যার ফলে ভোগান্তি বেড়েই চলছে।
ফেরি পারাপারে অতিরিক্ত সময় লাগার জন্য রাজধানীমুখী বিভিন্ন গাড়ির চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এতে যানজট লেগেই তীব্র যানজট লেগেই রয়েছে। ঘাট এলাকায় দেখা যায় ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পরেছে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহস্রাধিক ভারী যানবাহন। ঘাটের জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোগান্তি ও সংকট কাটাতে এই নৌরুটে ছোট ফেরির পাশাপাশি কমপক্ষে ১২টি রো রো (বড়) ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রাখা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান বহরে আছে ৮টি রো রো (বড়) ফেরি। এছাড়াও যে ৬টি ইউটিলিটি (ছোট) ও তিনটি কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি আছে সে সকল ফেরি ধারণক্ষমতা অনেক কম।
অন্যদিকে যে সকল রো রো (বড়) ফেরি রয়েছে তা চলাচলের জন্য কমপক্ষে ৮ ফুট গভীরতা প্রয়োজন যা প্রয়োজনের তুলনায় গভীরতা কম থাকায় কয়েকটি পন্টুনের পকেটে ফেরি ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ঘাটের চ্যানেলে ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছেন বিআইডাব্লিউটি'এর ড্রেজিং বিভাগের কর্মীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬ টি ফেরি থাকলে তারমধ্যে ১৪ টি সচল আছে, ফরিদপুর ও কুমিল্লা নামের দুটি কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় এই নৌরুটে ফেরির সংকট অনেকটা বেড়েছে। ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জরুরী ভিত্তিতে রো রো (বড়) ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, আশাকরি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।