ঝিনাইদহের ১৬ লাখ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কর্মরত দুইজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আতিকুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার ২০শে নভেম্বর ২০২১ ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের ১৬ লাখ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কর্মরত দুইজন

জনবল সংকট নিয়েই চলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই সংস্থাটি ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করলেও এখনও পরিপূর্ণ রূপ পায়নি। পায়নি প্রয়োজনীয় জনবল। অর্জন করতে পারেনি আইন বাস্তবায়নের সক্ষমতা। 


এর মধ্য দিয়েও সংস্থাটির কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে দেশের ১৬ কোটির অধিক ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সংস্থাটি। অধিদফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩০৫ জন জনবল নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রশাসন প্রাথমিক পর্যায়ে ২০৬ জনবল অনুমোদন করেছে। 


প্রয়োজনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই নগণ্য ও অপ্রতুল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সরকার একটি আইন প্রণয়ন করেছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ক্ষমতাবলে ভোক্তা অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করছে সংস্থাটি। তবে আইন প্রয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না থাকায় সাধারণ মানুষ এই সংস্থা ও আইনের সুফল সেভাবে পাচ্ছে না। তার ওপর জনবল সংকট তো রয়েছেই।  


জানা গেছে, দেশের ১৬ কোটির অধিক সংখ্যক ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির জনবল রয়েছে মাত্র ২০৮ জন। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা জনবলের সংখ্যা ১০৮ জন। ঝিনাইদহের ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন মাত্র কর্মকর্তাসহ ২ জন। তবে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে অমীমাংসিত রয়ে যাচ্ছে শত শত অভিযোগ। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তা তদারকি করে ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। 


জানা গেছে, দেশে অধিকাংশ পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভেজাল ও প্রতারণার মহোৎসব চলছে। বস্তুুত বাজারে মাছ-গোস্ত, দুধ-ডিম ও ফলমূল থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও ভেজালের মিশ্রণসহ নানা প্রক্রিয়ায় প্রতারণা করা হচ্ছে। অসাধু ব্যক্তিরা অধিক মুনাফার লোভে মত্ত হয়ে একদিকে চাল, মাছ, সবজি, মসলা, দুধ, দই, মিষ্টি, বেকারি পণ্যসহ নকল ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছে; অন্যদিকে বিভিন্ন সেবা প্রদানে অবাধে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। 


পাশাপাশি পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করছে। 


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবব দেয়া আছে। বাজেট পাওয়া সাপেক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল অনুমোদন করছে। 


তিনি জানান, ‘নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্য দিয়েই সাধারণ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছি।’ অধিদফতরে দাখিল হওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সীমিত জনবল দিয়েই সাধ্যমতো এগুলো নিষ্পত্তি করছি।’