ওয়াইসি ছিঁড়ে ফেললেন বিল (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৭ অপরাহ্ন
ওয়াইসি ছিঁড়ে ফেললেন বিল (ভিডিও)

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই- ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (এমআইএম) সভাপতি ও হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি সংবিধানবিরোধী নাগরিকত্ব বিলের উপর আপত্তি তুলে এক পর্যায়ে লোকসভায় ওই বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন । সোমবার লোকসভায় এ ঘটনা ঘটে।

বিলে আপত্তি জানিয়ে ওয়াইসি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা দেশের সংবিধানের মূল কাঠামোর (বেসিক স্ট্রাকচার) অঙ্গ। এই বিল তার বিরোধী। এটি মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে। এছাড়া বিলটি আইনসম্মত নয়। এসময় তার যুক্তির স্বপক্ষে সায়রা বানু মামলা, কেশবানন্দ ভারতী মামলা ও সর্বানন্দ সোনোয়াল মামলার উদ্ধৃতি দেন ওয়াইসি।

বক্তব্যের শেষে হিটলার ও ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম জড়িয়ে মন্তব্য করেন। পরে সেই অংশ স্পিকারের নির্দেশে লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে বিল নিয়ে বিতর্কের সময় বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন ওয়াইসি। বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলে তিনি বলেন, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এই বিল মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত, যা আরও একবার দেশভাগের দিকে নিয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে বহু শরণার্থী এসে বছরের পর বছর ধরে বাস করছে বলে জানিয়ে আসছে ভারত। সেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বলে দাবি অমিত শাহের। বিল পেশের পরই বিরোধীদের আক্রমণ ঠেকাতে অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। বিলে ভেদাভেদ হচ্ছে বলে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে এখনই এই বিল নিয়ে সংসদ ছেড়ে চলে যাব, এক শতাংশ সংখ্যালঘুবিরোধী নয় এই বিল। এই বিল পাস হলে কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকার।’

বিল পাস হওয়ার পর সব সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া এই বিলের সব ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। সোমবার দুপুরে লোকসভায় এই বিল পেশ করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর রাত সাড়ে ১২টায় পাস হয়। বিলের সমর্থনে ভোট পড়েছে ৩১১টি ও বিপক্ষে ৮০টি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর