১ ডলার বিনিয়োগ করে তার বিনিময়ে ৯০ হাজার ডলার পাওয়া কি সম্ভব? এমন প্রশ্নে আপনার কাছে মনে হতেই পারে বিষয়টা বড় রকমের চুরি বা ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ২০১০ সালে যারা ক্রিপটোকারেন্সি বিট কয়েনে ১ ডলার ইনভেস্ট করেছেন বর্তমানে তাদের সেই বিট কয়েনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ডলার! সম্প্রতি আমেরিকান সিকিউরিটি ব্যাংকের বরাত দিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, গত দশকে সবচাইতে লাভজনক বিনিয়োগ ছিলো ক্রিপটোকারেন্সি বিট কয়েনে।
বর্তমানে একটি বিট কয়েনের মূল্য প্রায় ৭ হাজার ডলার। অবশ্য দুই বছর আগে একটি বিট কয়েন ২০ হাজার ডলারেরও বেশি মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। বর্তমানে তার মূল্য বেশ কম। কিন্তু দশকের শুরুতে যখন প্রথম বিট কয়েন বাজারে আসে, তখন এর বাজার মূল্য ছিলো ১ পেনির কয়েকভাগের এক ভাগ! এখনও বিট কয়েনে বিনিয়োগ করাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। কিন্তু ক্রিপটোকারেন্সি হিসেবে বর্তমানে বিশ্বে সবচাইতে জনপ্রিয় বিট কয়েন।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিট কয়েনকে মুদ্রার বদলে ব্যবহার শুরু করছে। সেই সঙ্গে বিট কয়েন বিনিময় করার জন্য নতুন নতুন ব্যবস্থাপনা চালু হচ্ছে। যার কারণে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ছে বিট কয়েনের। এর পাশাপাশি ফেসবুকের ঘোষণা করা 'লিবরা ডিজিটাল কারেন্সি'-র কারণে ক্রিপটোকারেন্সি ধারণা বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও বেশি বৈধতা পাচ্ছে। বিগত দশকে বড় ধরণের বেশ কিছু অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতা, ব্রেক্সিট এবং ইউরোপিয়ান অর্থনীতিন ধীরস্থির অবস্থার মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলো বিট কয়েন। সিএনএন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।