পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন ও বিতর্কিত কাশ্মীর উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরে কারফিউ জারি থাকার কারণে লাখ লাখ মুসলিম দেশটি ছেড়ে পালাতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর বিশাল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে, যার মাধ্যমে মারাত্মক এক শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হবে।
জাতিসংঘের আয়োজনে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব শরণার্থী ফোরামের এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান এমন উদ্বেগের কথা জানান। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে যে শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হবে তা অন্য সব সঙ্কটকে ছাপিয়ে যেতে পারে।
মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফলাফল নিয়ে সতর্ক করে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা চিন্তিত যে সেখানে (ভারতে) শুধু শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে নয়, এর ফলে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের পারমাণবিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়েও উদ্বিগ্ন।’
ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও এখনই ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ আর কোনো শরণার্থী গ্রহণ করতে পারবে না।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত সরকার দেশটির প্রায় ৭০ বছরের এক নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে। যার মাধ্যমে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
সম্প্রতি এক টুইটে মোদি সরকারের সমালোচনা করে ইমরান লেখেন, মোদির নেতৃত্বে পদ্ধতিগতভাবে ভারতে ধারাবাহিকভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাশ্মীর জবরদখল, আসামে এনআরসির মাধ্যমে ২০ লাখ মুসলিমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া, বন্দিশিবির স্থাপন ও সর্বশেষ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন তার উদাহরণ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।