প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১০:৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ক্যাপিটল ইহুদি জাদুঘরের বাইরে, যেখানে তখন একটি অনুষ্ঠান চলছিল।
এনবিসি নিউজকে দেয়া তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চারজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি আকস্মিকভাবে গুলি চালান। এতে এক নারী ও এক পুরুষ গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরবর্তীতে দুজনই মারা যান। গুলি চালানোর সময় ওই ব্যক্তি ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ বলে চিৎকার করছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনার পরপরই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীর উদ্দেশ্য এবং এর পেছনে কোনো সংগঠিত সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এই হামলাকে ‘ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসবাদের নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইহুদি সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধন মানে আন্তর্জাতিক রেডলাইন অতিক্রম করা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ড্যানি ড্যানন উল্লেখ করেন, ইহুদি জাদুঘরে একটি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের সময় এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এই হামলা শুধু ইসরায়েলের ওপর নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরেই একটি সহনশীল সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্দি ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, এমন হামলা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এদিকে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, “আমরা এই বিকৃত মনস্ক অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।”
সাংবাদিকদের বরাতে জানা গেছে, ওই সময় জাদুঘরে ইসরায়েলি দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আতঙ্কিত অবস্থায় অনুষ্ঠান বন্ধ করে সবাই দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
এই হামলার পর থেকে এলাকাটিকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তে এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।