প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১৭:৩৫
গাজা উপত্যকায় দুর্যোগপূর্ণ মানবিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায়, তবে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে।
ব্রিটেনের বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এই উদ্বেগজনক বার্তা দেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের অনুমতিতে যে অল্পসংখ্যক ত্রাণ গাজায় ঢুকছে, তা এই মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় একেবারেই অপ্রতুল।
তার ভাষায়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ত্রাণ প্রবেশে সামান্য শিথিলতা আনলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গতকাল মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। যদিও এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী ছিল, তবে সেগুলো এখনো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। সবগুলো ট্রাক এখনো সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
টম ফ্লেচার বলেন, "আমরা চাই অন্তত এই ১৪ হাজার শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচানো যায়। সামনে সময় খুবই সংকটময়।"
১৪ হাজার শিশুর জীবন ঝুঁকিতে— এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি জানান, জাতিসংঘের একটি শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে। যদিও এই দলের অনেক সদস্য ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন, তারপরও যারা বেঁচে আছেন তারা হাসপাতালে, স্কুলে এবং বিভিন্ন শরণার্থী কেন্দ্রে থেকে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তা আবারও গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতা ও নীরব সংকটের বাস্তব চিত্র সামনে নিয়ে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ ছাড়া এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।