প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:৪০
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যখন পাকিস্তান ৮ ও ৯ মে’র মধ্যরাতে ৩০০-৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এসব ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা করেছে এবং বেসামরিক বিমানগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ভারত দাবি করছে যে, এসব ড্রোনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী, সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভূমিকা সিংহ এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন। তাদের মতে, পাকিস্তান সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার জন্য এই ড্রোনগুলো পাঠিয়েছিল, তবে ভারতের সেনাবাহিনী এসব ড্রোন নামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী কাইনেটিক এবং নন-কাইনেটিক পদ্ধতিতে ড্রোনগুলোর মোকাবিলা করেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানায়, পাকিস্তান তাদের বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ না করে বরং এসব বিমানকে ‘ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। পাকিস্তানের একটি সশস্ত্র ইউএভি ভারতের বাথিন্ডা সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, তবে ভারতীয় বাহিনী এটি সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাল্টা হামলা হিসেবে ভারতীয় সশস্ত্র ড্রোন পাকিস্তানের চারটি আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে একটি ড্রোন পাকিস্তানের একটি এয়ার ডিফেন্স রাডার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
এর আগে, ৭ মে রাতে ভারত ‘অপারেশন সিদুঁর’ পরিচালনা করে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এদিকে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভারতীয় বাহিনী জানিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভারী গোলাবর্ষণ এবং ড্রোন-মিসাইল হামলার কারণে এক নারী নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ৯ মে, ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন, গোলাগুলির আওয়াজ এবং সাইরেনের শব্দে তাদের নিরাপত্তা উদ্বেগ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।