প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:২০
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসলামাবাদ। প্রাথমিকভাবে গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলেও পাকিস্তান এর পরিণতিতে মাঝারি পাল্লার ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারে আঘাত হানে পাকিস্তান।
শনিবার (১০ মে) আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তান প্রথমবারের মতো ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে আঘাত করার জন্য। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, তবে বেসামরিক স্থাপনাগুলি লক্ষ্যবস্তুতে নেই।
পাকিস্তান আরও জানায়, ৬ মে ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হন। এরপরও পাকিস্তান প্রথমে সংযম বজায় রাখে, কিন্তু ভারতের হামলা অব্যাহত থাকায় পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়।
এ হামলার পর পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুস’ নামক অভিযান শুরু করেছে, যার আওতায় পাঠানকোট, উদমপুর এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারে সফল আঘাত হানা হয়েছে। পাকিস্তান এ অভিযানে সফলতার দাবি করেছে, তবে এর পাল্টা আক্রমণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, হামলার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের নতুন এক জটিল দিকের সূচনা করেছে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আরও বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।