প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৭:৩০
কাশ্মীর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সামরিক অভিযানের জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের একটি পাল্টা সামরিক হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এই অভিযানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত প্রথমে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে। এর প্রতিক্রিয়াতেই তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অভিযানে মূল লক্ষ্য ছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে অবস্থিত ভারতের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের গুদাম। পাকিস্তান দাবি করেছে, এই গুদামে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রকল্প। এটি একটি অত্যাধুনিক সুপারসনিক অস্ত্র, যা আকাশ, স্থল ও জল থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। এর পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ ধরনের অস্ত্রাগারে হামলা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে একধাপে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতীয় সরকার এখনও পর্যন্ত এই হামলা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভারত বিষয়টি নিয়ে এখনো নিরব ভূমিকা পালন করছে। এর আগে ৬ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছিল পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের কিছু অংশে।
সেই অভিযানেই প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। পাকিস্তান বলছে, এই অভিযান ছিল উসকানিমূলক এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। তাদের ভাষ্যমতে, ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবেই ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’ অর্থে নামকরণ করা ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালানো হয়।
তবে দুই দেশের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মহল। সীমান্তে যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে যে ধরনের সামরিক শক্তি প্রদর্শন হচ্ছে, তা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে।
এছাড়া, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া হামলার দায়ভার নিয়ে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি অবস্থান চলমান উত্তেজনায় ইন্ধন জুগিয়েছে। সীমান্তে নতুন করে কোনো সংঘর্ষ না ঘটে সে দিকেই এখন সবাই তাকিয়ে আছে।