প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৩:৩৮
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের হামলার পর পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১০ মে, শনিবার এক সামরিক সংঘর্ষে ভারতীয় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি শহরে এক সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। নিহত কর্মকর্তার নাম রাজ কুমার থাপ্পা, তিনি এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যু ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
রাজ কুমারের মৃত্যুর পর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, রাজ কুমারের সঙ্গে তার একটি অনলাইন বৈঠক হয়েছিল, এবং কিছু ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন। পাকিস্তানের হামলা সিলেক্টিভভাবে সীমান্তের বেসামরিক এলাকাগুলো লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, যার ফলে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি গ্রাম্য বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত, তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পরই ভারত তার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে 'অপারেশন সিন্দুর' নামক এক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তানও পাল্টা সামরিক হামলা চালিয়েছে। ১০ মে পাকিস্তান অপারেশন ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ নামে একটি হামলা শুরু করে, যা ভারতের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা একে অপরকে দায়ী করে চলতে থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হামলা কেবল দু'দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।