প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ২:১
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করেই ভারতীয় ভূখণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে আতঙ্কে ভুগছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষজন। বিশেষ করে জম্মু, সাম্বা ও আখনূর এলাকায় সাইরেন বাজতে শুরু করে রাতেই।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক রকেট ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে পড়ে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে আশার কথা, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে পাকিস্তানের ছোড়া অন্তত ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল প্রধানত সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই হামলার প্রভাব পড়ে। জম্মু শহরের মোবাইল নেটওয়ার্ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে পাঠানকোট, বারামুলা এবং কুপওয়ারার মতো এলাকাগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি দুইটি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। এই ঘটনার পরপরই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে চলে যায় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে।
একইসঙ্গে পাঞ্জাবের বিভিন্ন শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ কার্যক্রম চালু করা হয়। হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরের মতো শহরগুলোতে বাতি নিভিয়ে রাখা হয়, যাতে লক্ষ্য নির্ধারণে পাকিস্তানি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যর্থ হয়।
হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি সরকার দাবি করে, পাকিস্তান অন্তত ১৫টি শহরে তাদের সামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্তে এই চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।