প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৭:৪৮
রাজধানীর শাহবাগে শনিবার বিকেলে আবারও জমায়েত হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক জোট ও ছাত্রসংগঠনগুলো। বিকাল চারটার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন এই গণজমায়েতে। তিনি জানান, গত দুদিনের দাবদাহে রাস্তায় থাকার কারণে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখছেন—যদি কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে তার মুখ দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে, তবুও যেন আন্দোলনকারীরা থেমে না যান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক বা রাজনৈতিক চাপ আসুক, জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এমনকি যদি তিনি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে না পারেন, তবুও লক্ষ্য থাকতে হবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
এর আগে দুপুর তিনটার দিকে শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হয়। এতে এনসিপি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা। তারা সবাই একই দাবিতে একত্র হয়েছেন—আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মীরা জানান, শনিবারের এই গণজমায়েত থেকে নির্ধারিত হবে আন্দোলনের পরবর্তী দিকনির্দেশনা। যদি রাতের মধ্যেই সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না দেয়, তবে রোববার থেকে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
গণজমায়েতের একাধিক বক্তা জানান, আন্দোলনের নেতৃত্ব কেউ হারিয়ে ফেললেও জনতার রোষ আর ক্ষোভ থেমে থাকবে না। তাদের ভাষায়, এই মুহূর্তে দেশবিরোধী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনতার রায় স্পষ্ট—যে দল গণবিরোধী অপকর্মে জড়িত, তাদের অস্তিত্ব এই দেশে থাকতে পারে না।
তীব্র রোদ উপেক্ষা করে শত শত মানুষ শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তাদের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই। ভয়, চাপ আর ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই আন্দোলন অব্যাহত রাখার শপথ করেন তারা।