প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:১১
দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ও ভারতের সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশের সর্বোচ্চ পারমাণবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। শনিবার সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি মূলত পারমাণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ করে থাকে। সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, এই সভাটি হবে চূড়ান্তভাবে গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র মোতায়েনসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এই হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে ফাতাহ-১ নামের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। যার লক্ষ্য ছিল কেবল সামরিক অবকাঠামো। বেসামরিক স্থাপনা হামলার বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’। এর আওতায় পাঠানকোট, উদমপুর এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তান। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং সংঘাত আরও বাড়তে পারে।
ভারতের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই পাকিস্তান এই অভিযান চালিয়েছে বলে জানায় ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের ভাষ্য, মঙ্গলবার ভারতের হামলায় তাদের বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। তবুও তারা প্রথমে সংযম বজায় রাখে, কিন্তু ভারত হামলা অব্যাহত রাখায় জবাব দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
এই ঘটনার পেছনে তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তান ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে। ড্রোনগুলো তুর্কি নির্মিত হওয়ায় আঙ্কারার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।
দুই দেশের উত্তেজনার মাঝে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা নতুন করে সামনে এসেছে। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় ২০২৫ সালে ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি সেই পূর্বাভাসকেই বাস্তবে রূপ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।