বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশগুলোর তালিকায় ভারতের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নিউজউইকের এক রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই র্যাঙ্কিংতে ভারতের স্থান দশম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই র্যাঙ্কিং অর্জনের পেছনে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবং জনমত জরিপের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তরফ থেকে নিউজউইকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই গবেষণায় দেশগুলোর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে র্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতকে দশম অবস্থানে স্থান দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। এ দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই রিপোর্টে ভারতের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে সমালোচনাও করা হয়েছে।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন, যাকে সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চীনের কর্তৃত্ববাদী শাসন, ব্যাপক সেন্সরশিপ এবং বৈশ্বিক দূষণের জন্য তাদের দায়ী করা হয়েছে। এরপর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে দুটি পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অবস্থান করছে।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া। এছাড়া, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে পঞ্চম স্থানে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম অবস্থানে পাকিস্তান, ইরান ও ইরাকের মতো দেশগুলির অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদেরও সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে খারাপ অবস্থায়।
তালিকার নবম ও দশম স্থানে যথাক্রমে সিরিয়া এবং আবারও ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যাসমূহ মোকাবিলায় বিচক্ষণতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছে।
এই রিপোর্ট আন্তর্জাতিক জনমত ও গবেষণা প্রদর্শন করে যে, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলছে। যদিও প্রতিবেদনটি বিভিন্ন সূচকে ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করে, তথাপি এ তথ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে ভারতের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।