মালদ্বীপে ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

নতুন আইনের ফলে মালদ্বীপের ভূখণ্ডে কোনো ইসরাইলি নাগরিক প্রবেশ করতে পারবে না। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের দৃষ্টিতে এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রতীকী নয়, এটি মালদ্বীপের নীতিগত অবস্থানও স্পষ্ট করে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার বার্তা আবারও পৌঁছে দিলাম বিশ্ববাসীর কাছে।”

গত বছর থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু তখনই প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সেই অনুযায়ী একটি সরকারি কমিটিও গঠন করা হয়। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর এবার তা বাস্তবায়নের রূপ পেল।

মালদ্বীপ সরকার সবসময়ই ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিল। দেশটির নাগরিকদের মধ্যেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর সহানুভূতি রয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্তে দেশের জনগণের আবেগও প্রতিফলিত হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

আইনটি পাস হওয়ার পর মালদ্বীপজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। অনেকেই একে “সাহসী সিদ্ধান্ত” আখ্যা দিয়ে সরকারের প্রশংসা করেন। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, আইন বাস্তবায়নে ইমিগ্রেশন বিভাগ, পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দেশের নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছিলেন। এখন মালদ্বীপ সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা সেই সতর্কতার বাস্তব প্রতিফলন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে মালদ্বীপের এই অবস্থান প্রশংসিত হচ্ছে।