হামাসকে ধন্যবাদ জানালেন পুতিন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা

হামাসের জিম্মিদশা থেকে তিন রুশ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় প্রকাশ্যেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার ক্রেমলিনে ওই তিনজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পুতিন হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ক্রেমলিনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিপ্রাপ্ত রুশ নাগরিক আলেক্সান্দার ত্রুফানোভ, তার মা এলেনা ত্রুফানোভ এবং বাগদত্তা সাপির কোহেন। তারা সবাই ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক হন। পরবর্তীতে একাধিক দফায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তারা মুক্তি পান।

এই প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক ব্যাখ্যায় যেতে চাই না। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো—আপনারা এখন মুক্ত, এবং এই মুক্তির পেছনে রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণ, প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এবং রাশিয়ার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তার বক্তব্যে ছিলো কূটনৈতিক ভাষা, তবে হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ছিলো স্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছি। এই সম্পর্কই আজ আমাদের নাগরিকদের মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। তবে গাজায় চলমান সংঘাত এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পুতিন।

২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির সময় এলেনা ও সাপির মুক্তি পান। পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান আলেক্সান্দার। এই ঘটনায় রাশিয়ার কূটনীতিক তৎপরতাকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব আরও বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, তা নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্রেমলিনের এই বার্তা একদিকে যেমন মানবিক সহানুভূতির প্রকাশ, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রতি রাশিয়ার বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।