বিশ্ববাজারে আরেক দফা কমল তেলের দাম

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও চাহিদার ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আরেক দফা কমেছে।

ইকোনমিকস টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক শূন্য ২ ডলারে নেমে গেছে। এছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ক্রুডের দাম ৬ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৮ দশমিক ৪৮ ডলারে ঠেকেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৩ দশমিক ৮১ ডলারে নেমে আসে। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার পর সর্বনিম্ন।

এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১২০ ডলারের ওপরে উঠে যায়। মূলত করোনাপরবর্তী পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকায় চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বিশ্বের অন্যতম তেল রফতানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকে।

অর্থনৈতিক উদ্বেগের মধ্য দিয়ে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমেছে বলে জানিয়েছেন সিএমসি বাজার বিশ্লেষক টিনা টেং।

এএনজেইডের বিশ্লেষকদের মতে, পেট্রোলের উচ্চমূল্য চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রোলের চাহিদা প্রায় ৭ শতাংশ কমে গেছে। একই সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন তাদের শূন্য কোভিড নীতির কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে যেতে পারছে না।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। অপরদিকে বিশ্বে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনে এখনও শূন্য কোভিড নীতির কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমেছে। ফলে চাহিদা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এতে করে কমছে তেলের দাম।

এদিকে কলম্বো পেইজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) রাত থেকে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ কমিয়ে নতুন বাসভাড়া কার্যকর করেছে শ্রীলঙ্কা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীলঙ্কার জাতীয় পরিবহন কমিশনের (এনটিসি) মহাপরিচালক ড. নীলান মিরান্ডা।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি এক লিটার ডিজেলের দাম ১০ রুপি কমানোয় যাত্রীদের সুবিধা দিতে বাস ভাড়া কমানো হবে।’