প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৯
বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ প্রথমবারের মতো চালু করেছে সৌদি আরব। মার্কিন তৈরি এই টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থা স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে আরবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আওসাত। ইরানের আধা-সরকারি সংস্থা মেহের নিউজ এবং দ্য জেরুসালেম পোস্টও এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, জেদ্দা প্রদেশে অবস্থিত বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর গবেষণা কেন্দ্রে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে একটি বিস্তৃত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে থাড ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হয়।
সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও জোরদার করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অঞ্চলগুলোকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
তবে এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠেছে। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও ইয়েমেনের পাল্টা হামলার সময় থাড সবসময় প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে পারেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বৈশ্বিক থাড মজুদের প্রায় ২০ শতাংশ ব্যবহার করেছে, তবু অনেক ক্ষেত্রে হামলা প্রতিরোধ করা যায়নি।
তবুও সৌদি আরবের এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা অবস্থান এবং রিয়াদের কৌশলগত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মোতায়েন শুধু সৌদি আরবের জন্যই নয়, গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা কৌশলে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই পদক্ষেপ রিয়াদ-ওয়াশিংটনের সামরিক সখ্যতাকেও আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।