প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১১:৩৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার থেকে টানা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে গেছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রোববার দুপুরে বলেন, গত ৫ মে থেকে আমরা প্রতি কর্মদিবসে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেছি। এরপর ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে আধাবেলা কর্মবিরতি চলছিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
সহকারী শিক্ষকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা দশম গ্রেড বাস্তবায়নের আন্দোলন করে এলেও সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটি পদটিকে এন্ট্রি গ্রেড ধরে ১২তম গ্রেড বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। তারা বলছেন, এটি তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা এবার আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করছেন, ১২তম গ্রেড বাতিল করে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতেই হবে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা এবং শতভাগ পদোন্নতির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে উত্তরণ নিশ্চিত করা।
দেশজুড়ে আন্দোলনের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে জুন মাসে অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের সময় এই কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে বলে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে ৪ লাখ সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তাদের বৃহৎ একটি অংশই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।