প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ২০:৪৩
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার অপরিহার্য। তিনি বলেন, জাতির ভাগ্য নির্ধারণে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা হয়েছে। অল্প সংস্কারের কথা বলে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা চলছে। এর পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবধারিত এবং তা ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচনকে ঘিরে যাতে আর কোনো নাটক না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, জনগণ এখন সচেতন, তারা বুঝতে পেরেছে সময় ক্ষেপণের কৌশল চলছে। তাই সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তা নির্ধারণ করবেন জনগণই।
তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, আপনারা মাঠে নামুন, জনগণের কাছে যান। তাদের মন বুঝুন, তাদের প্রত্যাশা জানুন। জনগণের সমর্থনই বিএনপির রাজনৈতিক শক্তির উৎস।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। তিনটি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, সরকারকে আর সময় দেওয়া হবে না। জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, নির্বাচন ঘিরে নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়। বিভিন্ন স্লোগানে মুখর ছিল পুরো এলাকা। বক্তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।