প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ২২:১০
সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে কথিত ‘পুশ-ইন’ বা জোরপূর্বক অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার লোক বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
যদি এই বিষয়টিকে এখনই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা না হয় এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে জোরালো আলোচনা না হয়, তাহলে বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাদের মতে, পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকটের চেয়েও বড় মাত্রার (প্রায় ১৯ লাখ) নতুন শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হতে পারে বাংলাদেশকে।
“রোহিঙ্গা ইস্যু সামাল দিতে আমাদের যে রকম চাপ সহ্য করতে হয়েছে, এবার যদি সীমান্ত দিয়ে আরও অনুপ্রবেশ ঘটে, তাহলে এর প্রভাব শুধুমাত্র সীমান্তে নয়, পুরো দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে হুমকির মুখে পড়বে।”
এদিকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকেও যদি নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত থাকতে থাকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এককথায় মুখ বন্ধ রাখে, তাহলে দেশ চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।
“করিডোর নিয়ে আমরা যতটা আগ্রহ দেখিয়েছি, বর্তমানের বাস্তব নিরাপত্তা হুমকির দিক থেকে ততটাই উদাসীন থাকছি। “ভারতের পুশ-ইন কার্যক্রম যদি কেউ বুঝেও না বোঝার ভান করেন, তাহলে তাদের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।”
একজন সচেতন নাগরিকের ভাষায় বলছি , “এখন আর তথ্য গোপন রাখা সম্ভব নয়। এআই-এর যুগে প্রতিটি কর্মকাণ্ড নজরদারির আওতায় আসছে।
ভারতের এই হীন আচরণ কেবল একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট করছে না, বরং এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এখন সময় এসেছে সকল রাজনৈতিক দল এবং নিরাপত্তা সংস্থা সমন্বিতভাবে এই ইস্যুতে একটি শক্ত অবস্থান নেওয়ার।