মোংলা বন্দরে জাহাজে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৪শে নভেম্বর ২০২২ ০৬:১৫ অপরাহ্ন
মোংলা বন্দরে জাহাজে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার

মোংলা বন্দরের বহিঃনোঙরে অবস্থানরত একটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে চুরি হওয়া মালামাল পশুর নদী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তবে জাহাজে চুরির ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড সদস্যরা। চুরির সাথে জড়িতদের ধরতে কোস্টগার্ডের অভিযান চলমান রয়েছে।


২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেন মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম. মামুনুর রহমান।


তিনি বলেন,  সাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি এ্যাজ ইলিনিয়া' কাতারের রুয়াইস বন্দর থেকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের ৩২ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার নিয়ে গত ২২ নভেম্বর রাতে  মোংলা বন্দরের বহিঃনোঙরে অবস্থান করে।


রাত পৌনে ১টায় ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারির দল গোপনে জাহাজে উঠে বোসন  লকার রুম ভেঙে পেইন্টসসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে। পরবর্তীতে ওই বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকরা  কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সাথে যোগাযোগ করে। এসময় সমুদ্র টহল থাকা কোস্টগার্ড জাহাজ বিসিজিএস কামরুজ্জামান ও বিসিজিএস তামজীদ 'এমভি এ্যাজ ইলিনিয়া' জাহাজের নিরাপত্তা দিতে বহিঃনোঙরে আসে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।


বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকরা তাদের জাহাজের মালামাল চুরি হওয়ার বিষয়টি কোস্টগার্ডকে পুরোপুরি অবগত করলে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুটি আভিযানিক দল ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ১৫ মিনিটে মোংলার কানাইনগর এলাকার পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি ৪ সিলিন্ডার বিশিষ্ট বোট ও একটি ২ সিলিন্ডার বিশিষ্ট বোটে তল্লাশি করে জাহাজের চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র জব্দ করে কোস্টগার্ড। 


অভিযান চলাকালীন সময়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দলের সদস্যরা। তবে চোরাকারবারিদের ধরতে কোস্টগার্ডের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মামুনুর রহমান।


জাহাজ থেকে চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে  বিপুল পরিমান পেইন্টস ও মেশিনারিজপণ্য। 


উদ্ধার হওয়া মালামাল মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় 'এমভি এ্যাজ ইলিনিয়া' জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মামুনুর রহমান, বিএন।