প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১১:২৩
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গত ৯ মে রাতে একটি বাসা থেকে মরিয়ম বেগম (৬০) ও সুফিয়া বেগম (৫২) নামে দুই বোনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরা একজন ব্যক্তি তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তার গতিবিধি স্পষ্ট দেখা গেছে, যা এই হত্যাকাণ্ডের মূল ক্লু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত মরিয়ম বেগম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ওই বাসায় স্বামী কাজী আলাউদ্দিন, মেয়ে নুসরাত জাহান ও ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। ঘটনার সময় আলাউদ্দিন ছিলেন বরিশালে, আর নুসরাত ছিলেন অফিসে।
নুসরাত জাহান জানান, খুনি নিশ্চয়ই পরিবারের পরিচিত কেউ, নাহলে বাসার ভেতরে প্রবেশ করতেই পারত না। বাসায় কোরবানির জন্য রাখা একটি ছোট রামদা দিয়েই খুনি দুই নারীকে হত্যা করেছে বলে তার ধারণা।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নীল জিনস ও গাঢ় নীল শার্ট পরে দ্বিতীয় তলায় ওঠেন। মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক এবং মাথায় কমলা রঙের ক্যাপ থাকায় তাকে সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে তার চলাফেরা ছিল সন্দেহজনক, এবং তিনি পোশাক পরিবর্তন করে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি যে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন, তা খালি অবস্থায় নিয়ে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, খুনের পর আলামত কিংবা রক্তমাখা পোশাক ওই ব্যাগে করে নিয়ে গেছেন।
বাসার নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও কিছু বাসিন্দাকে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পুলিশ আশাবাদী এবং খুব শিগগিরই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী একটি সম্ভাব্য পরিচিত ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং দ্রুত তাকে আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।