প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৩
গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হয়েছিলেন ১৩ বছর বয়সী জারিফ ফারহান। তার দগ্ধের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ, যা শ্বাসনালীসহ শরীরের বিস্তৃত অংশে ছিল। দীর্ঘ চারদিন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জারিফের বাবা হাবিবুর রহমান লিটন জানান, ছোট ছেলেকে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে তাদের বাড়ির পাশে খাল পাড় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার পর পাশেই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। যদিও পরিবারের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে হলেও মায়ের ইচ্ছায় এবং পরিবারের স্থায়ী অবস্থানের কারণে ঢাকাতেই দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনার দিন, জারিফকে স্কুলে নিয়ে আসার পর তার মা বাসায় ফিরে যান এবং জারিফ একাই বাসায় ফিরবার কথা ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় মোট ৩৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সংখ্যা এখনও প্রায় অর্ধশত। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে নিহতদের সংখ্যা ছড়িয়ে আছে।
রাজধানীতে ঘটে যাওয়া এই বিমান দুর্ঘটনার পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী আজও শোকাহত। নিহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্ত ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ট্র্যাজেডি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনাটি দেশের শিক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পরিবার ও এলাকাবাসী আশা করছে, দুর্ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।