প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ২০:২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর প্রবাসী আল-আমিন হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে পাবনার আমিনপুর থানার কোমরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাবনা জেলার কোমরপুর গ্রামের আলাউদ্দিন শেখ ওরফে আলো মৃধার ছেলে শাহ আলী ওরফে শাহ আলম ওরফে আলম শেখ (৩৮) এবং সাগরকান্দি গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোরশেদ সরদারের ছেলে রুবেল সরদার ওরফে দাদা রুবেল (৩৭)। পুলিশ জানায়, শাহ আলী মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি এবং রুবেল সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত আল-আমিন ছিলেন একজন প্রবাসী এবং পাবনা জেলার সিদ্দিকনগর রামনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সকালে তিনি রাজবাড়ীর ঢালার চরে আত্মীয়ের সঙ্গে পাত্রী দেখতে যান। এরপর দুপুরে ফুপাতো বোন জামাই মেঘা সরদারের মোটরসাইকেলে করে গোয়ালন্দের রাখালগাছি বাজারে পৌঁছালে ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।
বাজারে পৌঁছানোর পর পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে আল-আমিনকে ঘিরে ফেলে। দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে বেধড়ক মারধর করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ এপ্রিল সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর নিহতের মামা লিটন কাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুস সালাম ঠান্ডু, জুয়েল রানা সহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, পাবনায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই আসামিকে আটক করা হয়। পরে তাদের রাজবাড়ী জেলা আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ড এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। প্রবাস ফেরত একজন যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দ্রুত বিচার দাবিতে একাধিক মানববন্ধনও করে। পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।