সুনামগঞ্জে যুবদল নেতা আরিফ রব্বানী হিমেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন, পরিবহন খাত, বালুমহাল ও জলমহালে তার সিন্ডিকেটের আধিপত্য রয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। পারিবারিকভাবে গড়ে তোলা এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, হিমেল প্রতিদিন বিভিন্ন অফিসে দলবল নিয়ে হানা দেন এবং এক থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। তার আপন ফুফাতো ভাই আলমগীর সীমান্তের চোরাচালান এবং ছাত্রদলের সদস্যসচিব কোহিনূর বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা স্থানীয় এলাকায় চাঁদাবাজি ও অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
গত ডিসেম্বর মাসে হিমেলের নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাজ দল ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর এলাকায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছে চাঁদা দাবি করে। প্রতিবাদ করায় বিএনপির এক নেতার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার দোকান ও বাড়ি লুট করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, হিমেল এবং তার বাবা শফিকুল ইসলামের কর্মকাণ্ডে তারা অতিষ্ঠ। তাদের অভিযোগ, হিমেল যুবদলের পদ ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।
এদিকে, আরিফ রব্বানী হিমেল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো বানোয়াট দাবি করেছেন। তিনি জানান, দলের মধ্যে কিছু কোন্দল রয়েছে, যা দলীয়ভাবে সমাধান হবে। তবে ঠিকাদারি কাজের পাশাপাশি রাজনীতি করলেও তার বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, দলীয় কোন্দলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রশীদ বলেছেন, অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমেল ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।