দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে- অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার ৩০শে নভেম্বর ২০২৪ ০৬:০৭ অপরাহ্ন
দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে- অর্থ উপদেষ্টা

দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে অর্থনীতির পরিস্থিতি একটু উন্নতির দিকে যাচ্ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে।’’ রাজধানীর একটি হোটেলে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন।


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে, তবে আগের সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও দুর্নীতি দুই-চার মাসে সমাধান করা সম্ভব নয়। গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক সেক্টরে যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে, তা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর অর্থ পাচার করতে পারবে না।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোকে কিছুটা সহায়তা দেওয়ার জন্য ২২ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর শুরুতে এ টাকা দিতে চাননি, তবে আমি তাঁকে বলেছি, 'টাকা দিতে হবে, যাতে আমরা কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে পারি।'’’


এসময় ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৬০ হাজার কোটি টাকা মুদ্রিত করেছে এবং আগামী দিনে আরো কিছু মুদ্রা ছাপানো হবে। ‘‘এটি অবশ্যম্ভাবী, কারণ দেশের অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল হওয়ায় অর্থের জোগান বাড়ানো প্রয়োজন। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরের ঋণ প্রবাহ যাতে কমে না যায়,’’ বলেন তিনি। 


বেসরকারি খাতে ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন আপাতত পলিসি রেট বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। সরকার খুব সতর্কভাবে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বজায় রাখতে কাজ করছে, যাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না হয়।’’ 


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও সরকারের কিছু পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কাজকে আরও কার্যকর ও সহজ করার জন্য আমরা রাজস্ব আদায়কারী এবং আইন-প্রণেতাদের আলাদা করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’’ এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।


সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এবিবি চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান, এবং ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার। তাঁরা সবাই বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।