প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৫, ১৮:১৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জনগণ যার খুশি তাকে নির্বাচিত করুক, তবে এমন কাউকে যেন না বেছে নেয় যে দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যায় বা জনগণের সামনে জবাবদিহির সাহস রাখে না। শুক্রবার দুপুরে জামালপুর-১ নম্বর গ্যাসকূপ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পে জানা গেছে, তারতাপাড়া এলাকায় ১০ দশমিক তিন বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক দুই বিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা, যা প্রায় ১১শ কোটি টাকার এলএনজি আমদানির সমান মূল্যমান।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, দেশে গ্যাস সংকট একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা শিল্পোৎপাদন ব্যাহত করছে। বাপেক্স নতুনভাবে গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেছে, অনেকে বলে থাকে তারা দুর্বল, কিন্তু এবার তাদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার শুধু প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। সোলার পাওয়ার ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সরকারের আলাদা কর্মপরিকল্পনা রয়েছে, যা আগামী দিনে জ্বালানি নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ফাওজুল কবির খান স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৮ সালে তিনি সচিব থাকাকালে জামালপুরে এসেছিলেন এবং এবার এসে তেমন পরিবর্তন দেখছেন না। তিনি বলেন, যদি সত্যিই ৬০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হতো, তাহলে জামালপুরকে নতুনভাবে চেনা যেত।
১৪০ কোটি টাকার ব্যয়ে গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, ২ডি ও ৩ডি সিসমিক জরিপের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে এবং বাপেক্স ভবিষ্যতেও সম্ভাবনাময় এলাকায় অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে।
এই পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন বাপেক্স কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফজলুল হক, জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সরকারি পর্যবেক্ষণে এমন উদ্যোগে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তব ফলাফল এনে দেবে এবং জ্বালানি নির্ভরতার ক্ষেত্রে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।