প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৬
পিরোজপুরে এক কর্মীসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামির মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থায় সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তিনি বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, বরং জনগণের প্রকৃত মতামত জাতীয় সংসদে প্রতিফলিত হবে, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে এবং টাকার অপব্যবহার ও নির্বাচনী দুর্নীতিও রোধ করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সকালে পিরোজপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে জেলা কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, শহরে গণসংযোগ এবং ভাড়ানিখাল খনন কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি ১৯৮৪ সালে জামায়াত প্রথম তুলেছিল, যা পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করেছে। তেমনি পিআর পদ্ধতির যৌক্তিকতা ও কল্যাণও একসময় জনগণ উপলব্ধি করবে।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব থাকে, কোনো ভোট নষ্ট হয় না। এতে জাতীয় সংসদে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয় এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে ওঠে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচন সম্ভব হয়।
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল চেতনা ছিল বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গঠন। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় সেই চেতনার প্রতিফলন নেই। তিনি মনে করেন, দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে, তারপরই নির্বাচন সম্ভব।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো সংস্কার না করে যে কোনো নির্বাচনের ফলাফল হবে আরেকটি ফ্যাসিবাদের উত্থান। দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদকে আর সহ্য করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাম্মদ জহিরুল হক, পৌর আমীর ইসহাক আলী খান, পৌর সেক্রেটারী আল আমিন শেখ, ওয়ার্ড আমীর মোদাচ্ছের হোসাইনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
তারা সবাই পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দেন এবং দলীয় কর্মীদের এই পদ্ধতির গুরুত্ব জনগণের মাঝে তুলে ধরার আহ্বান জানান।