শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঘটা করে প্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঘটা করে প্রচার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বিচার শুরুর প্রথম দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তার গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছিল।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, "নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি"। তারা জানায়, এই বছরের শুরুতে সহিংস আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি হয়েছে।


বিবিসি এই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করে, "শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি"। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছে।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হাসিনা সরকার ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে। তবে এই আদালতের কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলেছে, অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার জন্য এই আদালত ব্যবহার করা হয়েছে।


বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতেই অবস্থান করছেন এবং ভারত সরকার তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করেছে, যা দিয়ে তিনি অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন। তবে যদি তিনি ভারতে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির ভিত্তিতে তাকে ফেরত দিতে হবে।


পাকিস্তানের দ্য ডন, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ নিউজ, খালিজ টাইমসসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ঘটনার প্রভাব এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।