কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লক্ষ্মী রানী সরকারকে পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার তারাশী গ্রাম থেকে তাকে ২ জন নারী ও ১ জন পুরুষসহ আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মী সরকার দীর্ঘ দেড় মাস ধরে তারাশী গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন। এলাকার বাসিন্দারা তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ জানালে, পুলিশ তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লক্ষ্মী রানী সরকার, তৃষ্ণা মোল্লা (২৫), সুমি বেগম (২৮) এবং মহসিন উদ্দিন খান (২০)কে আটক করে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে লক্ষ্মী রানী সরকারকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের মাধ্যমে যদি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ খুশি হয়েছেন , কেউ কেউ মিষ্টি বিতরণ করেছেন । এর কারন জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলেন আমরা এই এলাকার বাসিন্ধা অধিকাংশ মুসলিম হলেও তাদের অত্যাচারে সংখ্যালঘুর মতো জীবন যাপন করতাম। সত্যিকারে এই এলাকায় হিন্দুদের জ্বালায় আমাদের বসবাস করা মুশকিল ছিল হাসিনা থাকা কালীন । কারন এই অঞ্চলের হিন্দুরা আমাদের ভারতের নিন্মজিবি মুসলিমের মতো আচরণ করতেন ।
এদিকে, লক্ষ্মী সরকারের আটক হওয়ার পর এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয় থাকার কারণে তিনি এই ধরনের কাজে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, তার সমর্থকরা বলছেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ।
স্থানীয় এলাকাবাসী মনে করেন, পুলিশ এই ঘটনার মাধ্যমে সমাজের জন্য একটি বার্তা পাঠাচ্ছে যে, অপরাধীদের প্রতি তাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। তারা আশা করেন, এই ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।