খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বুধবার ১৯শে মার্চ ২০২৫ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু

নানা জটিলতার পর প্রায় সাত মাস বন্ধ রাখার পর আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট-জেলেখালী গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ফের শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন পাউবোর খুলনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শাহীদুল আলম, সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, এস ও আব্দুল আলিম, জাইকার কনসালটেন্ট মাইনুল হাসান এবং আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক।


সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে ৪২ হাজার ৯৫৫টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখনো ৪ হাজার ৫০০ ব্যাগ ডাম্পিং করার প্রয়োজন রয়েছে, যার মধ্যে ৪ হাজার পিস ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। দয়ারঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ, সার্বজনীন বাসন্তী মন্দির প্রাঙ্গণ, সুন্দরবন হ্যাচারি এবং মৎস্য সেটের আশেপাশে ব্লক স্তুপ করে রাখা রয়েছে। ব্যাগ ডাম্পিং শেষ হলে ব্লকগুলো নদীতে ডাম্পিং করা হবে।


প্রকৌশলী সৈয়দ শাহীদুল আলম জানান, গত সাত মাসে দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে কাজের অগ্রগতি বিলম্বিত হয়েছে। তবে বর্তমানে কাজ শুরু হয়েছে এবং তা সঠিকভাবে চলবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এবং কাজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।


জাইকার কনসালটেন্ট মাইনুল হাসান জানান, কিছু অভিযোগ ছিল যে, জিও ব্যাগে বালির পরিবর্তে শুকনো মাটি ভরা হচ্ছে। তবে তদন্তে দেখা গেছে, বস্তাগুলোর বালি এখনও ভিজে রয়েছে। বস্তাগুলোর পরীক্ষা আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুনরায় করা হয়েছে এবং সেগুলোর সঠিকতা নিশ্চিত করা হয়েছে।


সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হলেই প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।


তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সরকারের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাপানি কোম্পানি (জাইকা) ২১ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ১৫০ টাকা অর্থায়নে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে কাজটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রামের বিসকন লি:। ১২৭০ মিটার বেড়িবাঁধের জন্য মাটির কাজ, ব্লক প্লেসিং, নদীতে ব্লক ডাম্পিং এবং ৪০০ মিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।


দীর্ঘদিন ধরে দয়ারঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, সার্বজনীন বাসন্তী মন্দির, সুন্দরবন হ্যাচারি ও মৎস্য সেটের আশেপাশে ব্লক স্তুপ করে রাখায় স্থানীয়দের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। এলাকাবাসী দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।