শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনলাইনে বদলির চিন্তা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই মার্চ ২০২৫ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনলাইনে বদলির চিন্তা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজেলা ভিত্তিক হলেও, সামগ্রিকভাবে উপজেলা ভিত্তিতেই চালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে নিয়ম ভঙ্গের কারণে বিচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতন্ত গ্রামে কেউ কাজ করতে চায় না, সবাই শহরমুখী হতে চায়—এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। এই অবস্থা থেকে বের হতে, আমরা বিষয়টিকে অনলাইনে করার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি, সামগ্রিক বদলীর প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হোক।”


শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বাজেট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুল হক, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার।


ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় আরো বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের মূল কাজটি হচ্ছে আমাদের শিশুদের সাক্ষর করে তোলা। তাদের লেখা পড়ার প্রয়োজন আছে বলেই আমাদের উপস্থিতি। যদি তা না হয়, তবে আমাদের উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা যে যেখানেই আছি, সেটা যেন আমরা মনে রাখি। আমাদের মূল কাজটি বিদ্যালয়ে হয়। বিদ্যালয়ে দুটি অংশ—একটি শিক্ষার্থী, অন্যটি শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীরা আসেন শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং শিক্ষকরা তাদের সাহায্য করেন শিক্ষা লাভের জন্য। আর অন্যদের কাজ হচ্ছে তাদেরকে সহায়তা করা।”


তিনি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী দের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষা পরিবারের আপনারা যারা সরাসরি শিক্ষাদানের সাথে জড়িত নন, তাদের মনে রাখতে হবে—আপনারা মন দিয়ে কাজটা যেন শিশু ও শিক্ষকদের সহায়তা করেন। তখন এমন একটি পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে শিশুরা ভালোভাবে শিখতে পারবে। মান উন্নয়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।" এ সময় তিনি আরও বলেন, “শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের মাথায় রাখতে হবে—আমরা যা করছি, সব কিছুই শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য করছি।”


প্রশিক্ষণে ৪০ জন পিটিআই সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, এবং ইউআরসি ইনস্ট্রাকটরসহ ৪০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন।