ঝিনাইদহে সোমবার দুপুরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। তাদের বিক্ষোভের মূল বিষয় ছিল ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা এবং ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিক্ষোভ মিছিলে সারা জেলার ২০ হাজার ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি ঝিনাইদহ শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ ও বন উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা ঈদুল ফিতর পর্যন্ত জেলার সকল ইটভাটা চালু রাখার দাবি জানান। তারা বলেন, "জিগজ্যাগ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করতে হবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে আমাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, এবং ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।" বক্তারা আরও বলেন, "মাটি কাটতে জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধানও বাতিল করতে হবে।"
এ্যাডভোকেট এম এ মজিদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, কারণ এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তিনি বলেন, "জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ইটভাটায় কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে।" তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, যে কোনো সময় আকস্মিকভাবে ইটভাটাগুলো বন্ধ করা উচিত নয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিদ মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও আসাদ উদ্দিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।