নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে গভীর রাতে গরু চুরির সময় ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক যুবক। মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক যুবকের নাম রিয়াদ হোসেন। তিনি পাশের পশ্চিম মাইজচর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় তার সাথে আরও একজন থাকলেও তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা জানান, রাতে বাড়ির আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল দুইজন। পরে ইসমাইলের বাড়ি থেকে গরু বের করে নিতে গেলে এলাকাবাসী তাদের ধরে ফেলে।
স্থানীয়রা রিয়াদকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং জীবন ঝুঁকিমুক্ত।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি আন্ডারচর ইউনিয়নে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তারা বেশ কিছুদিন ধরে রাতে পাহারা দিচ্ছিল। দীর্ঘদিনের সেই সতর্কতার ফলেই এবার চোরকে হাতে-নাতে ধরতে সক্ষম হয়েছে তারা। তাদের দাবি, এলাকায় গরু চুরি রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পলাতক চোরকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। প্রশাসন যদি নিয়মিত টহল ও নজরদারি জোরদার করে, তবে এসব চুরির ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশও এখন থেকে বিশেষ নজরদারির আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, চুরির ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা খুবই জরুরি। তাদের মতে, এই ধরনের ঘটনা পুনরায় যেন না ঘটে, সেজন্য নিয়মিত অভিযানের বিকল্প নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।