ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও শৌলজলিয়া ইউনিয়নের উত্তর তালগাছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় কাঁঠালিয়া ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “আমি ২০১৭ সালে উত্তর তালগাছিয়া নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করি। মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কাঁঠালিয়া উপজেলা শাখার কমিটিতে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে অন্তর্ভুক্ত হই। তবে আজ থেকে আমি আওয়ামী লীগের সকল পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবো না।”
তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানান, বর্তমানে তিনি ছারছিনা দরবার শরিফের অনুসারী এবং সেখানকার পীর সাহেবের নির্দেশনা অনুসারে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না। তিনি বলেন, "ছারছিনার বর্তমান গদিনশিন পীর সাহেবের ভক্তদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার নির্দেশনা রয়েছে। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম।"
এলাকায় মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। এক সময় তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর প্রভাবশালী বলয়ের মাধ্যমে তিনি কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পান।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই পদত্যাগকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেয়ার সাত মাস পর তিনি দল থেকে বেরিয়ে গেলেন। বিশেষ করে তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হক মনিরের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের পদত্যাগ স্থানীয় রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং তার এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পরিবর্তন আনতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।