ঠাকুরগাঁওয়ে রাতের আধারে ড্রেন নির্মাণ, মান নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ ইলিয়াস আলী - জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: বুধবার ১৯শে মার্চ ২০২৫ ০৫:২৫ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে রাতের আধারে ড্রেন নির্মাণ, মান নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের টিকাপাড়া এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নন্দন প্রেস রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে ড্রেন নির্মাণের ঢালাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর ফলে পরিবেশের বিপর্যয় এবং কাজের মানে ধ্বস আসতে পারে। রাতের বেলা তড়িঘড়ি কাজ করার ফলে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।


গত শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক শফিউল ইসলাম আবারও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করতে গেলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবিও তোলেন এবং অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ্য করেন। তাদের নজরে আসে যে, শ্রমিকরা অপরিচ্ছন্ন বালু ও মাটির মিশ্রণ দিয়ে ঢালাই কাজ করছে, যা নির্মাণমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তবে স্থানীয় প্রশাসন বা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নানা অনিয়ম করছে, কিন্তু যারা কাজের তদারকি করবে, তাদের কোনো খোঁজ নেই। পৌর কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত হওয়ার পর সংবাদকর্মীদের জানায় যে, প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং পৌরসভা শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহ করছে।


জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব সংবাদকর্মীদের জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তবে, কাজের গতি ও রাতের বেলা কাজ করার বিষয়ে তিনি কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তিনি বলেন, রাতে কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা, কিন্তু রাতে কাজ করার নিয়ম আছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।


এদিকে, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, রাতের বেলা কাজ করাটা কোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল দিতে পারে না। তিনি বলেন, এর কারণ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে কাজটি চলছে এবং তারা এটি তদারকি করছে।


এভাবে অনিয়মের মধ্যে কাজ চলার কারণে এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা, প্রকল্পের কাজের গুণগত মানে যে পরিমাণ অবনতি ঘটছে, তাতে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া সম্ভব হবে না। এ ঘটনায় দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।