গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এই মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। 


মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য রবিন নুরতাজ আলম, সজিব শাহরিয়ার, রাকিবুল রাকিব, আবির, রেদোয়ান, আকিব, সুমন সহ স্থানীয় ছাত্র নেতারা। তাদের দাবি, অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক এবং জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হোক। 


বিক্ষোভের পর বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থকরা গণহত্যায় জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। তারা আরও জানান, জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 


এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দাবি, এই দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। বক্তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তাদের নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। 


এদিকে, গোয়ালন্দের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বৈষম্য এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করা হবে। 


শিক্ষার্থীরা মনে করেন, শুধু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না, বরং গণহত্যার বিচার ও দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের ভাষ্য, যতদিন না সরকার তাদের দাবিগুলি মেনে নেবে, ততদিন তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। 


এছাড়া, বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য হলো জাতির প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তারা আরো বলেন, এই আন্দোলন একটি বৃহত্তর সমাজ পরিবর্তনের অংশ হিসেবে কাজ করবে। 


এ বিষয়ে গোয়ালন্দের ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আশা করছেন, তাদের আন্দোলন সরকার ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা পুনর্স্থাপন হবে।