কলাপাড়ায় তিন সেতুর নাম পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০২ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় তিন সেতুর নাম পরিবর্তন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তিনটি সেতুর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. গোলাম জিলানীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় তিনটি নদীর নাম অনুসারে সেতুগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।  


প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৯ কিলোমিটারে আন্দারমানিক নদীর ওপর নির্মিত শেখ কামাল সেতুর নাম পরিবর্তন করে আন্ধারমানিক সেতু রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে তাদের সেই দাবি বাস্তবায়িত হলো।  


একই মহাসড়কের ৬১ কিলোমিটারে সোনাতলা নদীর ওপর নির্মিত শেখ জামাল সেতুর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সোনাতলা সেতু। স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং নদীর ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এই পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  


এছাড়া, মহাসড়কের ৬৬ কিলোমিটারে খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতুর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে খাপড়াভাঙ্গা সেতু। দীর্ঘদিন ধরে নদীর নামে এই সেতুগুলোর নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  


নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় ইতিহাস ও নদীগুলোর পরিচয় আরও স্পষ্ট হবে এবং মানুষ সহজেই সেতুগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করতে পারবে।  


এদিকে, এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত সেতুর নাম পরিবর্তনের চেয়ে নতুন সেতুগুলোর নামকরণে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত ছিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় চাহিদা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।  


নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে ইতোমধ্যে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  


নতুন নাম অনুযায়ী সেতুর সাইনবোর্ড পরিবর্তনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, নতুন নামকরণ সেতুগুলোর পরিচিতি আরও সহজ করবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে সুবিধা আনবে।