প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার তেজগাঁওয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে তরুণদের একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে পরিচালিত করার জন্য উদ্দীপনা দেন। তিনি বলেন, "স্বপ্ন দেখতে হবে, কারণ স্বপ্নই পরিবর্তনের সূচনা করে।" তার মতে, তরুণদের উচিত নিজেদের প্রশ্ন করা, "আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি?" এই চিন্তা থেকেই তাদের সক্ষমতা ও সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রযুক্তিকে ‘আলাদিনের চেরাগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন, যা তাদের দ্রুত যোগাযোগের সুবিধা প্রদান করে। ছাত্রদের আন্দোলন ও নেতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান যুবকরা রাজনীতির দিকে তাকিয়ে নয়, বরং একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
বিশ্ব শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে, ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস প্রশ্ন তোলেন, "শান্তির জন্য কেন আমাদের একটি শান্তি মন্ত্রণালয় নেই?" তিনি বলেন, অধিকাংশ সরকার যে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে, তাতে বাস্তবিকভাবে শান্তির দিকে নজর নেই। এর পরিবর্তে, শান্তির জন্য একটি সক্রিয় মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “আমরা একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।” বর্তমান পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। তার মতে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে, সরকারের উচিত শান্তি ও প্রতিরক্ষা উভয় দিকের সমন্বয় ঘটানো।
তিনি এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "আপনারা আগামী দিনের নেতা, আপনাদের হাতে রয়েছে সমাজের পরিবর্তনের ক্ষমতা।" অধ্যাপক ইউনূসের এই অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য তরুণদের মধ্যে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এইভাবে, অধ্যাপক ইউনূস তরুণদের মধ্যে একটি কার্যকরী পরিবর্তনের সূচনা করার জন্য আহ্বান জানান, যা দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।