গোপালপুরের ভাদুড়িচর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন অভিযোগ করেছেন, তার বিএনপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে তিনি চাকরি হারিয়েছেন। তার পরিবারে বাবা, ভাই, স্বামী ও আত্মীয়রা বিএনপির কর্মী ও সমর্থক।
প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন তালুকদার ছিলেন হাফিজা খাতুনের বাবা। তিনি ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হাফিজা ২০০৫ সাল থেকে সরকারি বেতনভাতা পেতে থাকলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হঠাৎ করে তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন এবং বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় সই করতে বাধা দেন।
স্কুলটি ২০১৩ সালে সরকারি করলেও, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ইন্ধনে হাফিজা খাতুনের নাম সরকারি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। "আমি কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না," বলেন তিনি। "আমার পরিবার বিএনপির সদস্য হওয়ার কারণে এই অন্যায়ের শিকার হয়েছি।"
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুর রহমান জিন্না জানান, ঘটনাটি অনেক পুরনো। তিনি দুই বছর আগে এখানে যোগদান করেছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাফিজা খাতুন তার চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি আশা করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বঞ্চনার অবসান হবে এবং সে পুনরায় শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন। এই ঘটনার মাধ্যমে স্থানীয় রাজনীতিতে শিক্ষকদের সুরক্ষা এবং বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।