সিলেটের প্রবাসীরা বিমান ভাড়ায় বৈষম্যের শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সিলেট থেকে যাত্রা করার সময় ভাড়ার ক্ষেত্রে এই বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে উমরাহ যাওয়ার সময়, যাত্রীরা অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিগত দিনে সিলেট থেকে যেকোনো গন্তব্যের টিকেটের মূল্য ঢাকার টিকেটের সাথে সমান থাকলেও, বর্তমানে সিলেট ও ঢাকার টিকেটের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বিমানের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে টিকেটের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাভেলস ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশ বিমান উমরাহর জন্য দুই ক্লাসের টিকেট ইস্যু করছে, যা অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইন্সের তুলনায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা অভিযোগ করছেন, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ইউএস বাংলা অনেক কম মূল্যে টিকেট বিক্রি করছে।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব), সিলেট জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান বলেন, "বাংলাদেশ বিমান উমরাহর জন্য ইউ (উমরাহ) এবং এ (আলফা) ক্লাস টিকেট ইস্যু করছে, যা বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক যাত্রীকে অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট কিনতে বাধ্য হচ্ছে।"
এ ব্যাপারে আটাব-এর সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান রুশো চৌধুরী বলেন, "সিলেট-জেদ্দা রুটে মাত্র তিনটি ফ্লাইট চলাচল করে, যা সিলেটের প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এর ফলে অনেক যাত্রী সিট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।"
প্রবাসীদের এই বৈষম্যের ব্যাপারে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সম্প্রতি আটাব বিমানের জেলা ব্যবস্থাপকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে, যেখানে সিলেটের প্রবাসীদের জন্য টিকেটের অসামঞ্জস্য দূর করতে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেছেন, তিনি স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবেন।
এ অবস্থায় সিলেটের প্রবাসীরা আশা করছেন, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।