ডিসি অফিসের কর্মচারী তরিকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আলমগীর হোসেন - ঠাকুরগাঁও সদর
প্রকাশিত: সোমবার ৭ই অক্টোবর ২০২৪ ০৪:২৩ অপরাহ্ন
ডিসি অফিসের কর্মচারী তরিকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি হুকুম দখল ও গোপনীয় শাখার কর্মচারী তরিকুল ইসলামকে নিয়ে নানা অভিযোগের তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য রনজিৎ তিগ্যা এবং অন্যান্য নাগরিকদের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।


তরিকুল ইসলামের সম্পর্কে জানা যায়, তিনি মাত্র কয়েক বছরে আলাদিনের চেরাগের মতো অবস্থা তৈরি করেছেন। অফিস সহায়কের চাকরি করে কিভাবে কোটি টাকার মালিক হলেন, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না এবং অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গেও অসদাচরণ করেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন সরকারি সেবা প্রদান করার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া, অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করান। অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায়, তিনি ঢাকায় দুই কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন এবং ঠাকুরগাঁও শহরে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গড়েছেন।


অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, তিনি জেলা প্রশাসকের নাম ব্যবহার করে আদিবাসীদের জমি কিনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। এই অবস্থা দেখে স্থানীয় জনগণ দুদকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কারণ একটি সাধারণ কর্মচারী যদি এত সম্পদের মালিক হতে পারেন, তাহলে অন্যদের অবস্থা কি হবে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।


এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং কিছু লোক কেবল তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। 


জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানা এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগের তদন্ত করা হবে এবং দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তদন্ত না করা পর্যন্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


এখন সকলের নজর থাকবে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের দিকে, যা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে সহায়ক হবে।